যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে যান। জেদ্দায় লোহিত সাগরের বন্দরনগরীতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানসহ ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠকে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন জো বাইডেন। এর পাল্টা জবাবে সৌদি প্রিন্স বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রেরও ভুল আছে।
দুই দেশের এই শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে এক বিবৃতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, বৈঠকে প্রিন্স সালমান বাইডেনকে বলেছেন, সৌদি আরব সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার মতো ভুল ঠেকাতে কাজ করেছে। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, ইরাকযুদ্ধের মতো কিছু ভুল যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। এছাড়া সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যা ও ইরাকে বন্দি আবু ঘারিবের ইস্যুও বৈঠকে তোলেন সৌদি প্রিন্স।
বাইডেন বৈঠক শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি প্রিন্স মোহাম্মদকে বলেছেন, ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাশোগি হত্যার জন্য দায়ী করেন প্রিন্স সালমানকে। বাইডেন বলেন, ‘আমি সবসময় যেমন করি, আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে মানবাধিকারের বিষয়টি আমার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি আরো বলেন, ‘খাশোগি হত্যার বিষয়টি বৈঠকে উত্থাপন করেছি, আমি সে সময়ে এটি সম্পর্কে কী ভেবেছিলাম এবং এখন কী ভাবছি তা স্পষ্ট করে দিয়েছি’।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি সফর ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। শুক্রবার জেদ্দায় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে নানা রকমের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টার মধ্যে এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকট মেটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সৌদি আরব সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ।
এছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য হ্রাস করতেই বাইডেনের এ সফর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।